রাঙামাটিতে বিভাগীয় কমিশনার ফুটবল টুর্নামেন্ট বান্দরবান এক গোলে জয়লাভ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ ২৭ বছর পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়াম উদ্বোধন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা দল। এতে বান্দরবান জেলা দল রাঙামাটি জেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের শুভসূচনা করে। উদ্বোধনের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পার্বত্য এই জেলায় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কারণে এখানকার ফুটবলে জোয়ার সৃষ্টি হবে। খেলাধূলার মাধ্যমে যুবকরা নেশা থেকে দূরে থাকে, তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা তৈরি হয়। খেলাধূলা নির্মল বিনোদন। সেই বিনোদন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং যুবকদের মধ্যে খেলাধূলার চর্চা বজায় রাখার লক্ষ্যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(উন্নয়ন) শারমিন জাহান, রাঙামাটি সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুনায়েদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মো. সিহাব উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে উদ্বোধনী খেলায় রেফারিং দায়িত্ব পালন করেন দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। খেলা শেষে এই রেফারি বলেন, নিজ জেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করতে পেরে গর্ববোধ হচ্ছে। এই ধরনের খেলাধূলা আরো বেশি করে আয়োজন হলে যুবক-যুবতীরা খেলামুখী হবে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের টুর্নামেন্ট ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে বিভাগীয় বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এ বান্দরবান এক গোলে জয়লাভ । স্বাগতিক রাঙামাটিকে হারিয়ে বিরতির পর বান্দরবান জেলা এক গোলে জয়লাভ করায় উৎসুক জনতার উল্লাস । বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে জাকজমকপুর্ণ ষ্টেডিয়ামে গ্যালারীতে প্রচুর দর্শক দেখাগেছে ।২৭ বছর ফুটবল টুর্নামেন্ট উপভোগ করায় দর্শক ষ্টেডিয়ামে গ্যালারীতে পরিপুর্ণ।
আয়োজন করা হয় পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির নৃত্যসহ বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক আয়োজন। টুর্নামেন্টের ফিকশ্চার প্রণয়ন, দলগুলোর জার্সির রঙ নির্ধারণ ও বাইলজ অনুমোদনসহ যাবতীয় কাজ জেলা প্রশাসক ও তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে। জেলা দলগুলোর মধ্যে পরস্পর নিশ্চিতে বিদেশি বা অতিথি খেলোয়াড় না রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
এতে চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা,নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভাগের ১১টি জেলা দল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। দলগুলো দুটি জোনে ভাগ হয়ে রাঙামাটি ও কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলবে। পরে উভয় জোন চ্যাম্পিয়ন দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। শুক্রবার খাগড়াছড়ির সাথে লড়বে চট্টগ্রাম।
উল্লেখ্য যে, টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিভাগীয় অংশে সহযোগিতা করছেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল ও ডেইলি পিপল্স ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর।