গাজীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি ও বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পাঁয়তারা। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ হাইউল উদ্দিন খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক


মোঃ হাইউল উদ্দিন খান
গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের নয়া সাঙ্গুন গ্রামের মালয়েশিয়া ফেরত বড় ভাই স্বপনের নিকট পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যার হুমকি দিয়ে ছোট ভাইকে এলা
কা ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবাদে রোববার বিকেল ৩ ঘটিকায় গাজীপুর হাবিবউল্লাহ স্মরণী রোড ইকবাল কুটিরে সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে সহোদর আপন ছোট ভাই মোক্তারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোক্তারুজ্জামান তার লিখিত বক্তব্যে জানান তার আপন বড় ভাই ১৯৯০ সালে অবৈধ ভাবে আমার বাবার আর্থিক সহযোগিতায় মালয়েশিয়া পাড়ি দেন। দীর্ঘদিন তিনি নিখোঁজ হয়ে আত্মগোপনে থাকেন।ইতোমধ্যে তার শোকে আমার শিক্ষক বাবা ও গৃহিণী মা ইন্তেকাল করেন। ২০ বছর পর বাড়িতে ফোন দিয়ে বলে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কাজ করায় পুলিশ আটক করেছে। সেই মূহুর্তে জেল থেকে ছাড়া পেতে ও দেশে ফিরতে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমি তার ছোট ভাই মোক্তারুজ্জামান ধার হিসাবে লোকমারফত ও বিকাশের মাধ্যে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠাই। সর্বশেষ বিমান টিকেট ২৭ হাজার টাকা পাঠানোর পর ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর আমার পাওনা ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাইলে এলাকার আঃ আউয়াল মানিক মিয়া ও সিরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে সংঘবন্ধ হয়ে আমাকে বেধরক মারধর করে। টাকা ফেরত না দিতে স্থানীয় পুলিশ দিয়েও নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। এরই মধ্যে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সামাজিক গ্রাম্য সালিশে পৈতৃক সম্পত্তির কিছু জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়ার লিখিত সমঝোতা হয়।কিন্ত নানা তালবাহানায় জমি বা পাওনা টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি যা তদানীন্তন রয়েছে।
এই মূহুর্তে তাদের ভয়ে গত একসপ্তাহ যাবত ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি আইনশৃংখলা বাহিনী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নিকট আমার বড় ভাই স্বপন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সুষ্ঠু বিচার দাবির পাশাপাশি পাওনা ১০ লাখ ফেরত অথবা জমি লিখে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে মোক্তারুজামানের বড় ভাই স্বপন ও টোক ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে রিসিভ করেননি