গাজীপুরে দূর্নীতিগ্রস্থ মর্জিনা এখন অপপ্রচারের নায়িকা!
গাজীপুরে দূর্নীতিগ্রস্থ মর্জিনা এখন অপপ্রচারের নায়িকা!

গাজীপুরে দূর্নীতিগ্রস্থ মর্জিনা এখন অপপ্রচারের নায়িকা!
স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নে দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা বেগম নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে উল্টো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ তুলে বলছেন দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে টার্গেট:করে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত মেম্বার মর্জিনা এখন অপপ্রচারের নায়িকা বনে গেছেন।
শুক্রবার বিকেলে বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভায় ইউনিয়নের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা মর্জিনার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উত্থাপন করেন।
বাড়িয়া ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনজুর আলী, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইদুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোতালেব গাজী, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বাচ্চু মোল্লা এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিছা তারা অভিযোগ করে বলেন— মেম্বার মর্জিনা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাবমারসিবল মোটর, গর্ভবতী ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী সারাইয়া গ্রামের বিশ্বনাথ দাসের কাছ থেকে মোটর বসানোর নামে ৪০ হাজার টাকা, উত্তম চন্দ্র দাসের স্ত্রীর কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার নামে ৭ হাজার টাকা, মিহির চন্দ্র মণ্ডলের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার নামে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মর্জিনা।
টাকা নেওয়ার পরও প্রতিশ্রুত সুবিধা না দিয়ে বছরের পর বছর ভুক্তভোগীদের ঘুরিয়ে উলটা পালটা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, বিষয়টি লিখিত আকারে ইউনিয়ন পরিষদে জানালে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান সালিশ ডাকেন। সেখানে উপস্থিত মানুষের সামনে মেম্বার মর্জিনা দোষী প্রমাণিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন এবং প্রকাশ্যে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন—আমরা সাবমারসিবল মোটর আর ভাতা পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম। কিছুই পাইনি। এখন উল্টো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আমাদেরকেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন মর্জিনা।
তাদের অভিযোগ, দুর্নীতি আড়াল করার জন্য মেম্বার মর্জিনা কিছু গণমাধ্যমে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান বলেন—সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলতেই আমি সালিশ ডাকেছিলাম। এরপর থেকেই মেম্বার মর্জিনা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। আমি এসব ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেম্বার মর্জিনা বেগম বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এগুলো চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া লজ্জাজনক।তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং অভিযুক্ত মেম্বার মর্জিনাকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।



