জিসিসি প্রশাসকের উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় কর্মসূচী সম্পন্ন
মোঃ হাইউল উদ্দিন খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক


মোঃ হাইউল উদ্দিন খান,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর পক্ষ থেকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রথমবারের মতো নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৫শ টাকা কেজি দরে ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় কর্মসূচী সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নগরীর ৮টি জোনে একযোগে ১১টি গরু জবাই করে ভূর্তকী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়।
জিসিসি’র প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে গরুর মাংসের উচ্চমূল্যের কারণে নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে মাংস কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নিতে এই মহতী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ এক কেজি মাংস কেনার সুযোগ পেয়েছে।
এদিকে সকালে মাংস বিক্রয় কর্মসূচীতে নগর ভবনে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৪) ইলিশায় রিছিল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ সানিউল কাদের, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক,বিদ্যুৎ,পানি) সুদীপ বসাক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, কর নির্ধারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রসুল ভূইয়া, মোনায়েম খন্দকার প্রমুখ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরী বিভিন্ন এলাকায় অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ বসবাস করে। বাজারে গরুর মাংসের দাম বেশী হওয়ায় এবং স্বল্প আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে এ মহতী উদ্যোগ নেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
টঙ্গী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-১) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, টঙ্গী জোনে ৩টি গরু জবাই করা হয়েছে। প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ওয়ার্ড সচিবের মাধ্যমে ৫৫০ জনকে টোকেন দেওয়া হয়। সে মোতাবেক সকাল থেকে ৫৫০ কেজি মাংস ৫৫০ জনের কাছে এক কেজি করে বিক্রয় করা হয়েছে।
পূবাইল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) রুবাইয়া জানান, পূবাইলে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ১টি গরু জাবাই করা হয়েছে। ৫০০ টাকা কেজি দরে টোকেনের মাধ্যমে ২৬৮ কেজি মাংস এক কেজি করে ২৬৮ জনের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।
গাছা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৩ ও ৬) শাহরিন আক্তার মাধবী বলেন, টোকেনের মাধ্যমে ২১৭ কেজি মাংস নি¤œবিত্তদের মাঝে ২১৭ জনকে জনপ্রতি এক কেজি করে এবং বাসন আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২১৫ কেজি মাংস এক কেজি করে ২১৫ জনের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।
নগর ভবন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৪) ইলিশায় রিছিল জানান, সকাল থেকে একযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৮টি জোনে গরুর গোস্ত বিক্রয় কর্মসূচী শুরু হয়। অঞ্চল-৪ এর ওয়ার্ড সচিবদের মাধ্যমে টোকেনের ব্যবস্থা হরা হয়। সে মোতাবেক নগর ভবন অঞ্চল-৪ এ ৩৫০ জন নি¤œ বিত্তদের মাঝে ৩৫০ কেজি জনপ্রতি এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়েছে। এতে সন্তোশ প্রকাশ করেছেন ৩৫০ জন পরিবার।
কাউলতিয়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) ফিরোজ আল মামুন বলেন, এ অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ১৯৪ কেজি মাংস ১৯৪ জনের কাছে এক কেজি করে ৫০০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়েছে।
কোনাবাড়ি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৭) নাজরাতুল নাঈম জানান, প্রথমবারের মতো স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কোনাবাড়ি অঞ্চলে ২১৬ কেজি মাংস টোকেনের মাধ্যমে এক কেজি করে ২১৬ জনের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।
কাশিমপুর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৮) নাহিদ হোসেন খান বলেন, নগরীর ৮ কোনাবাড়ি জোনে ১টি গরু জবাই করে ১৯৯ কেজি মাংস প্রতিজনকে ৫০০ টাকায় এক কেজি করে ১৯৯ জনের কাছে মাংস গরুর বিক্রয় করা হয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এই মানবিক উদ্যোগ নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।