
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ…
নিলফামারীর ডোমারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ নারীকে বেধড়ক মারপিটসহ তিনমাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নিলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার পশ্চিম নিজ ভোগডাবুড়ি এলাকায়।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ভোগডাবুড়ি এলাকার বাসিন্দা আধিপত্য বিস্তারকারী মৃত জামাত আলীর ছেলে দুলু মিয়া গংয়ের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলামের পরিবারের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়
গত ২৯ মার্চ সকাল ১০টায়
বসতবাড়ির পাশদিয়ে একটি ইট বোঝাই ট্রাক যাওয়ার পথে বাড়ির চারপাশে লাগোনো কয়েকটি বড় গাছ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র প্রতিপক্ষ উভয় পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে ডোমার থানার পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ কেন আসলো এনিয়ে আবারো শুরু হয় গন্ডগোল।
এরই এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ দুলু মিয়া ও আমজাদ আলী ভুট্টু গংয়ের লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা, বল্লম দিয়ে আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলামের ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কারিমা বেগমকে বেধড়ক মারপিটসহ পেটে লাথি মারতে থাকে। এই নির্মমতা দেখে ভুক্তভোগী পরিবারের অন্য নারী সদস্য ফিরোজা বেগম (৫৫), রওশন আরা (৩০) নুর বানু (২৫) মিলে কারিমাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে এমন্তবস্থায় তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহতদের অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর মধ্যে অতি গুরুতর অন্তঃসত্ত্বা নারী কারিমা আশংকাজনক অবস্থার কথা জানান রমেক চিকিৎসক। এবিষয়ে ভুক্তভোগী কারিমার স্বামী রবিউল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন,এই দুলু ও আমজাদ আলী পিতলগং শুধু আমাদের পরিবারের সাথে নয়, তারা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আমাদের এলাকার অসহায় পরিবারদের উপর প্রায় সময় নির্যাতন চালায়। এবং ওই পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। আমার ৪মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ওরা নির্মম ভাবে মেরে ভ্রূণ হত্যা করে। এজন্য ওদের এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। তবে এবিষয়ে আইনগতভাবে ভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার রোগি সুস্থ হলে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুলু ও আমজাদ গংয়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই শৈলেন চন্দ দেব প্রতিবেদককে বলেন,আমার এঘটনা বিষয়ে জানা নেই,তবে এজাহার দায়ের করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।