সহজেই ঘরে বসে টাকা আয়ের ফাদ! সতর্ক হোন আসামি আটক পাঁচজন
সহজেই ঘরে বসে টাকা আয়ের ফাদ! সতর্ক হোন আসামি আটক পাঁচজন


সহজেই ঘরে বসে টাকা আয়ের ফাদ! সতর্ক হোন আসামি আটক পাঁচজন
নিজস্ব প্রতিনিধি
ঘরে বসে টাকা আয় করুন”
এই প্রলোভনে পড়বেন না:
চায়নিজ প্রতারক গ্রেফতার!
ইদানিং facebook খুললেই দেখা যায়, ঘরে বসে টাকা আয় করার চমকপ্রদ সব বিজ্ঞাপন।
এরকম এক বিজ্ঞাপন দেখে গাজীপুরের এক সহজ সরল শিক্ষিত লোক অনলাইনে টাকা উপার্জন করার জন্য টেলিগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করেন। তারপর তাকে একটি গ্রুপে যুক্ত করা হয়। এই গ্রুপে তাকে খুব সহজ সহজ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েই তিনি ২০০০ টাকা উপার্জন করেন। এরপর তাকে পরবর্তী ধাপে (৫০০০/- টাকার ধাপে) খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। তিনি পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ওই গ্রুপে খেলা শুরু করেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ৭০০০ টাকার মত লাভ পান।
এরপর তাকে অনলাইনেই একটি একাউন্ট করে দেওয়ার কথা বলা হয়। যেখানে তার উপার্জিত টাকা এসে জমা হবে এবং তিনি নিজে এই টাকা যে কোন সময় তুলতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন। এরপর থেকে তিনি নিশ্চিন্তে খেলে যেতে থাকেন এক ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপে। আস্তে আস্তে তিনি ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার ধাপে প্রবেশ করেন। প্রত্যেক ধাপেই কিন্তু তাকে নিজে টাকা জমা দিতে হয়। ৫ লাখ টাকার ধাপে যাওয়ার আগে তিনি তার অন্যান্য গ্রুপ মেম্বারদের সাথে আলোচনা করেন। আসলে অন্যান্য গ্রুপ মেম্বাররাও ওই প্রতারণা চক্রের অংশ। তারা তাকে প্রলুব্ধ করে, আপনার ভাগ্য তো অনেক ভালো, আপনিতো পরবর্তী ধাপে গিয়ে আরো লাভ করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এরপর অনেক লাভ করে যখন সে এই জুয়া থেকে বের হয়ে আসতে চায়, তখন তার অনলাইন একাউন্ট থেকে টাকা আটকে দেওয়া হয়। একসময় সে দেখে যে, তার একাউন্টে আর কোন টাকাই নেই। এভাবে উক্ত ব্যক্তির নিকট থেকে ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র।
এভাবে অনলাইনে টাকা উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা দুবাই ও চায়নাভিত্তিক অনলাইন জুয়ার প্রতারণার চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এরকম এক চক্র কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস টিম ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা থেকে পাঁচজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে একজন চায়না নাগরিক।
১।Ma Fubin চায়না নাগরিক,
২.মোঃ আসাদুজ্জামান ৩.মাসুম বিল্লাহ ৪, আব্দুস সাত্তার ৫.মিজানুর রহমান. কে গ্রেপ্তার করা হয় এবংপ্রতারণার কাজে ব্যবহার করা পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় চায়না নাগরিক Ma Fubin বাংলাদেশে এজেন্ট হিসেবে অবস্থান করিয়া চায়নাতে বসবাস কৃত তাহার অপরাপর অন্যান্য সহযোগী আসামিগণ বাংলাদেশের নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে টেলিগ্রাম গ্রুপে এড করে তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে। তারা আরো জানায় যে, বাংলাদেশের সহযোগী আসামিদের ব্যাংক একাউন্ট/ বিকাশ/ নগদ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করিয়া বাংলাদেশের মানুষের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ আত্মসাৎকৃত টাকা নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করে।
এরপর চায়না নাগরিক টাকা তার নিজ দেশে নিয়ে যায় ডলার হিসেবে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়েছে।
লোভে পড়বেন না,!!!
প্রতারিত হবেন না!!!!